নিঃশেষ অক্সিজেন, হাহাকার দিল্লির হাসপাতালে !
যত তীব্র হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, তত বেশি করে হাহাকার বাড়ছে অক্সিজেনের । বুধবারই দিল্লি হাই কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, ভিক্ষে করেই হোক কিংবা চুরি-ধার, যেমন করেই হোক অক্সিজেন জোগাতে হবে। ছবিটা যে কতটা ভয়াবহ তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে দিল্লির মাতা চনন দেবী হাসপাতালের পরিস্থিতি দেখে। দুশোর বেশি কোভিড রোগী ভর্তি রয়েছেন সেখানে। কিন্তু অক্সিজেন অপ্রতুল। স্বাভাবিকভাবেই রীতিমতো হাহাকার পড়ে গিয়েছে। খারাপ অবস্থা রাজধানীর বহু ছোট হাসপাতালেরও। সেখানেই জোগান নেই অক্সিজেনের।গোটা দেশেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে রাজধানী দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অস্বস্তি। এর মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা দিল্লির। অভিযোগ, দিল্লির জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য রাজ্যে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সকালে অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছে মাতা চনন দেবী হাসপাতালে। রাত থেকেই অক্সিজেনের জোগানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই ডোজ অক্সিজেন এসে পৌঁছলেও পরিস্থিতি এখনও গুরুতর।একই রকম অভিযোগ রয়েছে অন্য হাসপাতালগুলিরও। এমনকী, ৫০ শয্যার ছোট হাসপাতালগুলিতেও অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বাওয়ানা নামের একটি জায়গায় অক্সিজেন সিলিন্ডার ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হলেও তা পূর্ব দিল্লি থেকে বেশ দূরে। ফলে সেখানে পৌঁছনোও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকালই দিল্লি হাইকোর্ট সরকারকে মনে করিয়ে দেয়, গুরুতর অসুস্থ নাগরিকদের জীবনরক্ষা করা কেন্দ্রে দায়িত্ব। বিশেষ করিডর করে হোক কিংবা বিমানের মাধ্যমেই হোক, যাঁদের অক্সিজেন প্রয়োজন তাঁদের কাছে তা পৌঁছে দিতেই হবে।